সংবাদ শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান সালাহউদ্দিন আহমেদের যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালিক এর সমর্থনে বালাগঞ্জে সুধী সমাবেশ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালিক এর সমর্থনে বালাগঞ্জে সুধী সমাবেশ সরকারি ও প্রবাসীদের অর্থায়নে পুর্ন:নির্মিত ঈদগাহে নিজের ভাইয়ের নাম দিলেন আ. লীগ নেতা শিহাব কাল সিলেট আসছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক বালাগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু দ্রুত সংস্কারকাজ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন কাইয়ুম চৌধুরী কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি

দক্ষিণ সুরমার মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে অনিল বিল সেচ না করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১১০ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ সুুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বোরো ফসল নির্ভরশীল মির্জানগর ও মানিকপুর গ্রামের কৃষকরা পাশ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার অনিল বিল ইজারাদার কতৃক সেচ না করার ও হাঁস খামারীদের হাঁস পালনে বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর কৃষকরা সোমবার বিকেলে বিলের পাড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় কৃষকরা অভিযোগ করেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। গ্রাম দুটির পূর্বপাশে অনিল বিল রয়েছে। উক্ত বিলের চারিদিকে গ্রাম দুটির অসংখ্য কৃষিজমি রয়েছে। এ জমি গুলোতে কৃষকরা বোরো ফসল চাষ করেন ও হাঁস খামারীরা হাঁস পালন করেন।১৫/২০জন খামারীরা হাঁস পালন করে আসছেন। বিল ইজারাদার মানিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন যেকোন সময় বিল থেকে পানি শুকিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনিল বিল সেচ হয়ে গেলে ৫টি গ্রামের প্রায় ১০০একর বোরো ক্ষেতের জমি অনাবাদী হয়ে যাবে। বোরো ফসল নির্ভরশীল দুটি গ্রামের কৃষকরা একমাত্র আয়ের উৎস হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে হাঁস পালনে বাঁধায় মানিকপুর গ্রামের আক্তার হেসেনসহ এই গ্রামের ১৫/১৬ জন খামারী তাদের হাঁস বিক্রি করে ফেলেন। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লোকসান হয় খামারিদের।

এ ব্যাপারে কৃষকদের ক্ষেতের জমি রক্ষার স্বার্থে ইজারাদার যাতে বিল সেচ না করতে পারে ও হাঁস পালনে বাঁধা সৃষ্টি যাতে না করতে পারে সেজন্য ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচির খবর পেয়ে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় সোমবার বিকেলে মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে গিয়ে বিলটির এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু বিলটি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার একটি বিল। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শমিদ মিয়া, ইমাম উদ্দীন, জুনাব আলী, আব্দুল্লাহ মিয়া, মাসুক মিয়া, জলাল মিয়া, ইসলাম মিয়া,শেবুল মিয়া, ছাইদুল হক, জুনেদ আহমদ, আলম উদ্দিন, দিলাবর হেসেন, নিজাম উদ্দিন, মোবারক আলী, মছব্বর আলী, লালা মিয়া, আশিক মিয়া, কামাল উদ্দিন, রাজু আহমদ, আলী আকবর রাজন সহ শতাধিক কৃষক।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ সুরমার মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে অনিল বিল সেচ না করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ সুুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বোরো ফসল নির্ভরশীল মির্জানগর ও মানিকপুর গ্রামের কৃষকরা পাশ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার অনিল বিল ইজারাদার কতৃক সেচ না করার ও হাঁস খামারীদের হাঁস পালনে বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর কৃষকরা সোমবার বিকেলে বিলের পাড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় কৃষকরা অভিযোগ করেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। গ্রাম দুটির পূর্বপাশে অনিল বিল রয়েছে। উক্ত বিলের চারিদিকে গ্রাম দুটির অসংখ্য কৃষিজমি রয়েছে। এ জমি গুলোতে কৃষকরা বোরো ফসল চাষ করেন ও হাঁস খামারীরা হাঁস পালন করেন।১৫/২০জন খামারীরা হাঁস পালন করে আসছেন। বিল ইজারাদার মানিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন যেকোন সময় বিল থেকে পানি শুকিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনিল বিল সেচ হয়ে গেলে ৫টি গ্রামের প্রায় ১০০একর বোরো ক্ষেতের জমি অনাবাদী হয়ে যাবে। বোরো ফসল নির্ভরশীল দুটি গ্রামের কৃষকরা একমাত্র আয়ের উৎস হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে হাঁস পালনে বাঁধায় মানিকপুর গ্রামের আক্তার হেসেনসহ এই গ্রামের ১৫/১৬ জন খামারী তাদের হাঁস বিক্রি করে ফেলেন। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লোকসান হয় খামারিদের।

এ ব্যাপারে কৃষকদের ক্ষেতের জমি রক্ষার স্বার্থে ইজারাদার যাতে বিল সেচ না করতে পারে ও হাঁস পালনে বাঁধা সৃষ্টি যাতে না করতে পারে সেজন্য ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচির খবর পেয়ে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় সোমবার বিকেলে মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে গিয়ে বিলটির এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু বিলটি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার একটি বিল। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শমিদ মিয়া, ইমাম উদ্দীন, জুনাব আলী, আব্দুল্লাহ মিয়া, মাসুক মিয়া, জলাল মিয়া, ইসলাম মিয়া,শেবুল মিয়া, ছাইদুল হক, জুনেদ আহমদ, আলম উদ্দিন, দিলাবর হেসেন, নিজাম উদ্দিন, মোবারক আলী, মছব্বর আলী, লালা মিয়া, আশিক মিয়া, কামাল উদ্দিন, রাজু আহমদ, আলী আকবর রাজন সহ শতাধিক কৃষক।