সংবাদ শিরোনাম ::
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান সালাহউদ্দিন আহমেদের যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালিক এর সমর্থনে বালাগঞ্জে সুধী সমাবেশ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালিক এর সমর্থনে বালাগঞ্জে সুধী সমাবেশ সরকারি ও প্রবাসীদের অর্থায়নে পুর্ন:নির্মিত ঈদগাহে নিজের ভাইয়ের নাম দিলেন আ. লীগ নেতা শিহাব কাল সিলেট আসছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক বালাগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু দ্রুত সংস্কারকাজ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন কাইয়ুম চৌধুরী কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানকে জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবি

লন্ডনে অস্থায়ী আবাসনে থাকা অভিবাসীদের মৃ ত্যু হলে খবর পান না স্বজন!

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • / ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্যে আগের চাইতে অনেকে বেড়েছে অভিবাসীদের প্রবেশ। এসব অভিবাসীর বেশিরভাগ অবৈধভাবে দেশটিতে যাচ্ছেন। এই অভিবাসীদের হোম অফিস কর্তৃক বিভিন্ন অস্থায়ী আবাসনে রাখা হচ্ছে।

 

তবে এরই মধ্যে একটি মর্মান্তিক তথ্য জানা গেছে। সেটি হচ্ছে- অস্থায়ী আবাসনে কোনো অভিবাসী মারা গেলে সেই অভিবাসীর পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয় না। এমনকি মৃত্যুর মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জনসম্মুখেও প্রকাশ করা হয় না।

বিষয়টি স্বীকারও করেছেন ব্রিটিশ হোম অফিসের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা মানসিক ট্রমায় ভুগতে পারে তাই জানানো হয় না। কিন্তু অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারানোর পর তথ্য না পেয়ে মানসিকভাবে আরও বেশি ভেঙে পড়ছে।

 

এই তথ্যগুলো এমন এক সময় প্রকাশ পেল যখন ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে অ্যাসাইলামে থাকা ১৭৬ জন মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা দ্বিগুণ। এই সময়ে কমপক্ষে ২৩ জন মানুষ সুইসাইড করেছেন।

 

এ বিষয়ে এনজিও সংস্থাগুলো সম্প্রতি সতর্ক করে জানিয়েছে- হোম অফিসের বিভিন্ন পলিসির কারণে অভিবাসীদের মধ্যে সুইসাইড করার প্রবণতা বাড়ছে। এর একটি কারণ হচ্ছে-  অল্প জায়গায় অধিক হারে অভিবাসী রাখা। যেমন এসেক্সের ওয়েদারস ফিল্ড এবং পোর্টল্যান্ড ডরসেটের বিবি স্টকহোম বার্জে অল্প জায়গার মধ্যে অসংখ্য অভিবাসীকে রাখা হয়েছে।

 

ইউরোপে শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করা নিউজ ব্লগ সিভিল ফ্লিট ফ্রিডম অফ ইনফরমেশনের ভিত্তিতে অভিবাসীদের মৃত্যুর এই বিষয়টি হোম অফিসের কাছ থেকে পেয়েছে।

এদিকে হোম অফিস আরও জানিয়েছে- গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বিভিন্ন এসাইলাম সেন্টারে থাকা পাঁচজন মারা গেছে। যার মধ্যে একজন আত্মহত্যা করেছে।

 

সিভিল ফিট বিষয়টি নিয়ে আইসিও-র কাছে আবেদন করে। এতে আইসিও রায় দেয় যে হোম অফিসকে অবশ্যই ৪ এপ্রিলের মধ্যে অভিবাসীদের মৃত্যু জনিত ডিটেইল তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ডিটেইল প্রকাশ না করলে আদালত অবমাননা করা হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে হোম অফিসের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

 

চ্যারিটি সংস্থা ইনকুয়েস্টের পরিচালক ডেবোরা কোলস বলেন- যুক্তরাজ্যের অন্য যেকোনো পাবলিক সংস্থার চাইতে হোম অফিস সবচেয়ে বেশি তথ্য গোপন করে। তারা তাদের কেয়ার সিস্টেমে অবহেলা করার পাশাপাশি মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে পর্যন্ত যথাযথ তথ্য দেয় না। এটা আইনি এবং নৈতিক দায়িত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লন্ডনে অস্থায়ী আবাসনে থাকা অভিবাসীদের মৃ ত্যু হলে খবর পান না স্বজন!

আপডেট সময় : ০৭:৩০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাজ্যে আগের চাইতে অনেকে বেড়েছে অভিবাসীদের প্রবেশ। এসব অভিবাসীর বেশিরভাগ অবৈধভাবে দেশটিতে যাচ্ছেন। এই অভিবাসীদের হোম অফিস কর্তৃক বিভিন্ন অস্থায়ী আবাসনে রাখা হচ্ছে।

 

তবে এরই মধ্যে একটি মর্মান্তিক তথ্য জানা গেছে। সেটি হচ্ছে- অস্থায়ী আবাসনে কোনো অভিবাসী মারা গেলে সেই অভিবাসীর পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয় না। এমনকি মৃত্যুর মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জনসম্মুখেও প্রকাশ করা হয় না।

বিষয়টি স্বীকারও করেছেন ব্রিটিশ হোম অফিসের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা মানসিক ট্রমায় ভুগতে পারে তাই জানানো হয় না। কিন্তু অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারানোর পর তথ্য না পেয়ে মানসিকভাবে আরও বেশি ভেঙে পড়ছে।

 

এই তথ্যগুলো এমন এক সময় প্রকাশ পেল যখন ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে অ্যাসাইলামে থাকা ১৭৬ জন মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা দ্বিগুণ। এই সময়ে কমপক্ষে ২৩ জন মানুষ সুইসাইড করেছেন।

 

এ বিষয়ে এনজিও সংস্থাগুলো সম্প্রতি সতর্ক করে জানিয়েছে- হোম অফিসের বিভিন্ন পলিসির কারণে অভিবাসীদের মধ্যে সুইসাইড করার প্রবণতা বাড়ছে। এর একটি কারণ হচ্ছে-  অল্প জায়গায় অধিক হারে অভিবাসী রাখা। যেমন এসেক্সের ওয়েদারস ফিল্ড এবং পোর্টল্যান্ড ডরসেটের বিবি স্টকহোম বার্জে অল্প জায়গার মধ্যে অসংখ্য অভিবাসীকে রাখা হয়েছে।

 

ইউরোপে শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করা নিউজ ব্লগ সিভিল ফ্লিট ফ্রিডম অফ ইনফরমেশনের ভিত্তিতে অভিবাসীদের মৃত্যুর এই বিষয়টি হোম অফিসের কাছ থেকে পেয়েছে।

এদিকে হোম অফিস আরও জানিয়েছে- গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বিভিন্ন এসাইলাম সেন্টারে থাকা পাঁচজন মারা গেছে। যার মধ্যে একজন আত্মহত্যা করেছে।

 

সিভিল ফিট বিষয়টি নিয়ে আইসিও-র কাছে আবেদন করে। এতে আইসিও রায় দেয় যে হোম অফিসকে অবশ্যই ৪ এপ্রিলের মধ্যে অভিবাসীদের মৃত্যু জনিত ডিটেইল তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ডিটেইল প্রকাশ না করলে আদালত অবমাননা করা হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে হোম অফিসের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

 

চ্যারিটি সংস্থা ইনকুয়েস্টের পরিচালক ডেবোরা কোলস বলেন- যুক্তরাজ্যের অন্য যেকোনো পাবলিক সংস্থার চাইতে হোম অফিস সবচেয়ে বেশি তথ্য গোপন করে। তারা তাদের কেয়ার সিস্টেমে অবহেলা করার পাশাপাশি মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে পর্যন্ত যথাযথ তথ্য দেয় না। এটা আইনি এবং নৈতিক দায়িত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।